আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি-সহ পুড়ে ছাই শিল্পীর ঘর
শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঘোষ এলাকায় রাস্তা থেকে পুকুরে নেমে যায় একটি চলন্ত চারচাকা গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন স্থানীয় এক দম্পতি। স্বামী সেখ মফিজুল ওরফে মুকুল উঠে আসতে সক্ষম হলেও তাঁর স্ত্রী আসমতআরা বিবি ওরফে আশা জলে তলিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে পুলিশ ও স্হানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় জাল ফেলে জল থেকে আসমতআরার মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
advertisement
মহিলার বাপের বাড়ির আত্মীয়রা অভিযোগ করে, এটি পরিকল্পিত খুন। স্ত্রীকে জলে ডুবিয়ে খুন করে দুর্ঘটনার নাটক করছে মুকুল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মুকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আদালত সেখ মফিজুলকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে শনিবার আসমতআরার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে আসমতআরার।
দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছে করেই গাড়ি জলে ফেলা হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এ জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কাজে লাগানো হচ্ছে মেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞদের। রাস্তার যে জায়গা থেকে গাড়িটি পুকুরে নেমেছিল সেই অংশের মাটিতে গাড়ির চাকার ঘর্ষন খতিয়ে দেখা হবে। পোশাক পরীক্ষা হবে মফিজুলের। তাতে গাড়ির ভেতর আসমতআরার সঙ্গে মফিজুলের কোনও ধস্তাধস্তি হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনার কিনারা করতে মফিজুলকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। আসমতআরার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মফিজুল। পথের কাঁটা সরাতেই আসমতআরাকে খুন করেছে সে। যদিও মফিজুল পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সে কারণেই গাড়ি পুকুরে নেমে যায়। এটি একটি দুর্ঘটনা।