ছয়ের দশকে প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময় থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য,বিমান বসু, হান্নান মোল্লা, বৃন্দা কারাতদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন একটা সময়। রাজনীতির পাশাপাশি অধ্যাপনাও করেছেন। শ্রীরামপুর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন সুদর্শন রায়চৌধুরি। ২০০৬-এ জাঙ্গিপাড়া থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে জেতেন। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর সেই বছরই মন্ত্রীসভায় উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেন। তার আগে দু বার শ্রীরামপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
advertisement
২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হুগলি জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে যাওয়ায় বিপত্তি বাড়ে। শনিবারই তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। বিকালে থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। আইসিইউ-তে রাত ৮.২০ তে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সিপিআইএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম তাঁর মৃত্যুর খবর টুইট করে জানান।