এর আগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার দু জায়গায় লাল ঝান্ডা পুঁতে জমির দখল নিয়েছিল সিপিএমের কৃষক সভা। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল খণ্ডঘোষে। সিপিএমের কৃষক সভার নেতা অমল হালদার বলেন, রাজ্য জুড়েই এই কর্মসূচি চলছে। কোথাও তা জনসমক্ষে আসছে কোথাও আসছে না। ভূমিহীন মানুষরা তাঁদের হারানো জমিতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে।
advertisement
মঙ্গলবার খণ্ডঘোষের সগড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের জুবিলা গ্রামে হাজরা পরিবারের চাষ করা একটি জমিতে লাল ঝান্ডা পুঁতে পুনরায় ধান রোয়া হয় কৃষক সভার নেতৃত্বে। ‘লাঙল যার জমি তার’ স্লোগান দেয় তারা। সিপিএমের কৃষক সভার নেতা বিনোদ ঘোষের অভিযোগ, কৃষকদের পাট্টা পাওয়া জমি থেকে তাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভূমিহীন কৃষকরা সেই জমির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।
এক কৃষকের দাবি, গত পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে ওই জমিতে চাষ করছিলাম। রাজু হাজরা দশ দিন আগে ওই জমিতে চাষ শুরু করেন। চারটে জমি এক করে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আমরা চাষ করতে গিয়ে দেখি ওই জমিতে চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। কৃষক সভার নেতৃত্বে সেই জমি ফের দখল নেওয়া হল। তবে জমি দখলে অভিযুক্ত হাজরা পরিবারের দাবি, জমির মালিকানার সব নথি তাদের কাছে আছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, আমরা কারও জমি জোর করে দখল নেওয়ার পক্ষে নই। তৃণমূল কংগ্রেস সেই কাজ সমর্থন করে না। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা বিচার করবে আইন আদালত, প্রশাসন। সিপিএম কেন সেই কাজ করবে। আসলে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই জমি দখল করে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে তারা।