পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় এই মতিঝিল পার্ক। ঠিক তেমনই প্রেমিক প্রেমিকা বা নিজের প্রীয় মানুষের কাছে মতিঝিল পার্ক সময় কাটানোর সুন্দর জায়গা।
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের পঠনে মতিঝিল ভারতীয় ইতিহাসের এক উল্লেখযোগ্য মোড়ের সাক্ষী। মতিঝিল ভাগীরথী নদীর এক পরিত্যক্ত বিছানা থেকে গঠিত ৩৫০ একর অক্সবা হ্রদটি নবাবি আমলে ব্যাপক মুক্তো চাষ থেকে এর নামকরণ করেছিল। ঝিল ইউনো মার্গারিটিফেরা প্রজাতি থেকে প্রাপ্ত সোনার টিন্টেড মুক্তো তোলার জন্য বিখ্যাত ছিল। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে এই পার্কে ভিড় করেন রোমিও জুলিয়েটরা। ঘুরে দেখতে পারেন পার্কের অসাধারণ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এমনকি ফুলের বাগান।
advertisement
কথিত আছে এই প্রকৃতি তির্থ নামে পরিচিত এই মতিঝিল। এখানে তিনশো বছর আগে নবাবরা মুক্ত চাষ করতেন। তবে কয়েক মাস আগে মুক্ত চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এক বেসরকারি উদ্যোগে। এবছর ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের ভিড় আছে চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা মহিলা কে? নাম আর ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন নিশ্চিত
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১লা জুলাই পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর আগে, এই বিশাল জায়গাটি পরিত্যক্তই পড়ে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটি উদ্বোধন করেন। মতিঝিল পার্কের বর্তমান নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রকৃতি তীর্থ’। ঐতিহাসিক নমুনা বলতে এখানে রয়েছে একটি মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র ও মতিঝিল হ্রদ। ঘসেটির প্রাসাদ আজ নিশ্চিহ্ন। তবে মীরমর্দনের কামানের একটি অংশবিশেষ এখানে রাখা হয়েছে। মূল কামানটি রয়েছে হাজার দুয়ারি প্রাসাদে।
আরও পড়ুন: ভূতে বিশ্বাস করেন! রাতেই কেন দেখা দেয় ভূত? বিশেষজ্ঞের কথায় চমকে উঠবেন
বাংলার প্রধান তিনি নবাব- মুর্শিদকুলি খাঁ, আলীবর্দী খাঁ ও সিরাজ-উদ-দৌলার তিনটি ভাষ্কর্য রয়েছে এই পার্কে।মতিঝিলের মূল ফটকটি আজও রয়েছে, তবে তা ভগ্নপ্রায়। পাশেই নতুন করে গেট তৈরি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে, মতিঝিল থেকে একসময় খোশবাগ দেখা যেতো। বর্তমানে মতিঝিল শুধু একটি পার্কই নয়, মুর্শিদাবাদের বড় বিনোদনকেন্দ্রও বটে।
—– কৌশিক অধিকারী