পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আওতায় নিয়ে আসা হলেও বাজারে তার অভাব রয়েছে। অনেকেই দোকানে খুঁজেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। অথচ এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুবই প্রয়োজন। আমরা তাই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করাচ্ছি। মেমারি বড়শুলের কয়েকটি গোষ্ঠী রাত জেগে এই কাজ করছে। আমরা তাদের কাঁচা মাল সরবরাহ করেছি। তারা তা থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছে। সরকারি সব দফতরকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সব অফিসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। কর্মীদের আগে তাতে হাত জীবাণুমুক্ত করে তারপর অফিসের কাজে যুক্ত হতে বলা হয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বাজার চলতি বিভিন্ন নামি কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থেকে কম হবে। তবে একই রকম কার্যকর হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এগুলি এখন ল্যবরেটরিতে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার পর তা সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে আনা হবে। বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অভাব মেটানো ও কালোবাজারি আটকাতেই এই উদ্যোগ। এর আগে মেমারির পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতিও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছিল। তারা অ্যালোভেরা ও সার্জিক্যাল স্পিরিট দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে। তাদেরও কাঁচামাল সরবরাহ করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন।
Saradindu Ghosh