এ শহরে এবার দোল ফাগুনের আতিশয্যে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার প্রচার চলছে মোবাইলের রিং টোনে, ফ্লেক্স, ব্যানার, লিফলেটে। সেসবের জেরে মারণ করোনা ভাইরাসের বিষয়ে কম বেশি সতর্ক সকলেই। সেই সতর্কতার জন্যই আবির এবং জল রঙকে দূরে সরিয়ে রাখলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। বাড়ির বাইরে পা রাখলেন না অনেকেই। ছোটদের হাতেও এবার উঠলো না পিচকারি। মুখোসের আড়াল থেকে জল বেলুন ছোঁড়ার আনন্দ এবার মাটি হল ছোটদের।
advertisement
বাসিন্দারা বলছেন, এই সুগন্ধি বাহারি আবির আসছে চিন থেকে। রঙ পিচকারি সবই সেখানে তৈরি। তার সঙ্গে যে করোনা ভাইরাস মিশে নাই কে বলতে পারে। তাই এবার আবির বা রঙের ব্যবহার থেকে দূরে থাকা। বেঁচে থাকলে আগামী দিনে অনেক রঙ খেলা যাবে। তবে বসন্তের এই দিনে নিজেদের গৃহবন্দি করে যাখতে চাননি অনেকেই। তাঁরা যোগ দিয়ে ছিলেন চতুরঙ্গেয বসন্ত উৎসবে। নানান রঙের পোশাকে সেজে মাঠে এসেছিলেন অনেকেই। উঠলো দেদার সেলফি। একের পর এক বসন্ত বরণের নাচে গানে কবিতায় পালিত হল দোল ফাগুন। ফাগ থাকলো। তবে তা থাকলো নিমিত্ত হয়েই। কেউ কপালে আঁকলেন আবিরের তিলক। কেউ আলতো ভাবে ঠেকিয়ে দিলেন গালে। আবিরের ব্যবহার বলতে এটুকুই। এবার এটুকুতেই মাত্রা টানলো দুর্গাপুর।
শুধু দুর্গাপুর শহর নয়, বেনাচিতি মুচিপাড়া, ভিড়িঙ্গি মোড়, পানাগড় বাজার সর্বত্রই এক ছবি। রাস্তা ঘাট ফাঁকা। ঘর থেকে বের না হয়ে আবির এড়ালেন অনেকেই। অন্যান্যবার পথ চলতি বাসিন্দাদের রাঙিয়ে দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। সবার রঙে রঙ মেশানোর সেই উন্মাদনার চির পরিচিত ছবির বাইরেই থেকে গেল এবারের দোল ফাগুন।