বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও সেভাবে এলাকায় এলাকায় করোনার (Coronavirus) পরীক্ষা হচ্ছে না। উপসর্গ দেখা দিলেও অনেকেই করোনার পরীক্ষা না করে ঘরে থাকছেন। তাতেই সংখ্যাটা তিনগুণ বেড়ে যাওয়াই চিন্তার কারণ। নমুনা পরীক্ষা বাড়লে এই সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের পরামর্শ, জ্বর সর্দি কাশি সহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সবার আগে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। পরবর্তী সময়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তখন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের পরামর্শ সঠিক মাস্কে মুখ ঢেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা জরুরি। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার সহ যাবতীয় সাবধানতা গ্রহণ করা দরকার।
advertisement
আরও পড়ুন - বাংলায় বিধিনিষেধ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত? সব নজর রবিবার দুপুর তিনটেয়...
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ দিন পর্যন্ত করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৯৭ জন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার ৬৬৮ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ১৩৪ জন পজিটিভ করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে ১৭ জন বর্ধমান পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় দু জন ও মেমারি পৌরসভা এলাকায় একজন করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দাঁইহাট পৌরসভা এলাকাতেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। এছাড়া জামালপুর ব্লকে একজন, কালনা এক নম্বর ব্লকে দু জন, কাটোয়া এক নম্বর ব্লকে একজন, মন্তেশ্বর ব্লকে দুজন, মেমারি এক নম্বর ব্লকের তিনজন এবং মঙ্গলকোট পূর্বস্থলী এক ও পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শরদিন্দু ঘোষ