কোথাও কোথাও ক্রেতাদের অভিযোগ মাস্ক পাওয়া গেলেও দোকানদার দাম নিচ্ছে বেশী।এমনই মাস্কের আকালের মধ্যে বারাসাত শহর আই এন টি টি ইউ সির নিয়ন্ত্রণাধীন ১২ নম্বর রেলগেটের হকার্স ইউনিয়ন বুধবার মাস্ক বিলি করা পরিকল্পনা করে।সেই বারাসাত কলোনী মোড়ে ট্যাক্সি স্টান্ডের সামনে মাস্ক বিলির জন্য তৈরি হন শ্রমিক সংগঠন এর কর্মীরা। মাস্ক বিলি শুরু করতেই, মুহুর্তের মধ্যে পিল পিল মানুষ জমা হয় সেখানে। ব্যস্ত কলোনী মোড়ে নিমেষ বহু মানুষ একত্রিত হওয়া টা বড় বিষয় নয়।
advertisement
আয়োজকদের কথা তারা যে পরিমাণ মাস্ক এনে ছিলেন, তা উপস্থিত মানুষের তুলনায় অপ্রতুল।ফলে যা হওয়ার তাই হয়। শুরু হয় কাড়াকাড়ি। পরে যা পর্যবসিত হয় খণ্ডযুদ্ধে । মাস্ক নিমেষেই শেষ হওয়ায় যুদ্ধ আচমকা থেমে যায়। কারন আয়োজকদের আনা মাস্ক শেষ।না পাওয়ার বেদনা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাদের মধ্য রাহুল বিশ্বাস ও একজন।তার কথায় মাস্ক বিলি হচ্ছে শুনে গিয়েছিলাম। যদি একটা পাওয়া যায়।কিন্তু ভীড় ঠেলে সামনে যাওয়ার আগেই তো সব মাস্ক নিয়ে নিল লোকেরা । আর এই ভীড় ঠেলে হাতে গোটা কয়েক মাস্ক নিয়ে ববি দাসের সে কি উচ্ছাস।
মাস্ক হাতে নিয়ে ববির চোখে যেন যুদ্ধ জয়ের সাফল্য।ববির কথায় ছোট বেলায় মন্দিরে হরি লুঠের বাতাসা কোড়াবার অভিঞ্জতাটা এবার বেশ কাজে দিয়েছে।কিন্তু বিপদ হতে পারতো এই প্রশ্নে উত্তরে আয়োজকদের এক অরিন্দম ব্যানার্জীর দাবী সামন্য মাস্কের জন্য এত মানুষ হামলে পড়বে তা তারা বুঝে উঠতে পারেননি।তার মতে, যেদিকে পরিস্থিতি গড়াচ্ছিল পায়ে চাপা পড়ে মারা পড়তে পারত মানুষ ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন , মাস্ক বিতরণ কালে ছোটাছুটি করতে গিয়ে চার রাস্তার সংযোগ স্থলে ও জাতীয় সড়কের মুখে মাস্ক বিতরণ স্থলে কেউ যে গাড়ি চাপা পড়েননি এটা পরম সৌভাগ্যের বিষয় । আর আয়োজক সংগঠনের কর্তা অরিন্দম ব্যানার্জীর দাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এক দু দিনের মধ্য আর হাজার পাঁচে মাস্ক তারা বিলি করবেন।
RAJARSHI Roy