জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্তরা এদিন করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কারণ তাঁরাও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এদিন করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এ কথা বলবো না। তবে রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যেসব জনপ্রতিনিধি যুক্ত তাঁরা করোনার প্রতিষেধক নিয়েছেন। কারণ তাঁরাও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে হয় তাঁদের। বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন, বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি হাসপাতালে সাফাই কর্মী সহ চিকিৎসকদেরও করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এছাড়াও রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদেরও নাম ছিল ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায়।
চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ডাক্তার নার্সদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মী অফিসার সহ বিভিন্ন পেশার অনেককেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। এই লড়াই করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সেইসব প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নাম প্রথম দিনের তালিকার প্রথমদিকে থাকায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। জানা গিয়েছে,এদিন জেলায় সাতশো জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাতে ডাক্তার নার্সদের অনেককেই এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। তাদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নাম তালিকার প্রথমের দিকে থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।
Saradindu Ghosh