সেই বিতর্কের মাঝেই শনিবার মূর্তি দুটি আনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচন হল। তবে সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন বর্ধমানের বড় নীলপুর মোড়ে সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই মূর্তি কার্জন গেটের সামনেই বসানো হচ্ছে কেন!
মূর্তি বসানোর কাজে মূল উদ্যোক্তা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। বিরোধীরা অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে।
advertisement
আরও পড়ুন- Howrah: বালি থেকে বর্ধমানে, উড়ে যাওয়া এক লাখি টিয়াকে খুঁজে আনল হাওড়া পুলিশ
বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বরের সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছে বর্ধমান পৌরসভা ও বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ইতিমধ্যেই কার্জন গেটের আশপাশের বিল্ডিং নীল সাদা রং করা হয়েছে।
কার্জন গেটের বিপরীতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দেওয়ালে মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে। কার্জন গেটের সামনে জি টি রোডের মাঝে বসেছে ফোয়ারা সহ বিশ্ব বাংলার গ্লোব। সেই সঙ্গে কার্জন গেটের ঠিক নিচে একদিকে মহারাজ বিজয় চাঁদ মহাতাব ও মহারানি রাধারানী দেবীর মূর্তি বসানো হল।
১৯ ০৪ সালে বর্ধমান রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বর্ধমানে এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জন। তাঁর সেই আগমন স্মরণীয় করে রাখতে সুদৃশ্য তোরণ তৈরি করেন মহারাজ বিজয় চাঁদ মহাতাব।
আরও পড়ুন- Midnapore News: কানাডায় গবেষণা করেন! বিজ্ঞানী! তবুও ছাত্র পড়ান মেদিনীপুরের স্কুলে! জানুন
তখন সেই গেটের নাম দেওয়া হয়েছিল স্টার অফ ইন্ডিয়া। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠাতা রাজা বিজয়চাঁদের নামে সেই গেটের নামকরণ হয় বিজয় তোরণ। তবে কার্জন গেট নামে তা বাসিন্দাদের কাছে অধিক পরিচিত। সেই গেটের সামনেই প্রতিষ্ঠাতা রাজা রানির মূর্তি বসানো হল।
এই স্থান নির্বাচনকে ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, কার্জন গেট একটি হেরিটেজ স্থাপত্য। তাই তার সামনে এই মূর্তি দুটি না বসিয়ে অন্যত্র বসানো উচিত ছিল।
কার্জন গেটের নিচের দিকে অনেক নকশা রয়েছে। এই মূর্তি দুটির কারণে সেই ইতিহাস ঢাকা পড়বে। মূর্তি দুটি রাজবাড়ি চত্বর, গোলাপবাগ বা অন্য কোথাও বসানো যেত। বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, এই মূর্তি বসানোর ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই।