প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা ছোঁড়া হয়। এ দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতা আসার জন্য গাড়িতে নিমতিতা স্টেশন যাচ্ছিলেন তিনি। মন্ত্রী স্টেশনে পৌঁছতেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন মন্ত্রী।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর, মন্ত্রীর বাম পায়ে এবং হাতে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ট্রমা কেয়ারে আপাতত রয়েছেন মন্ত্রী। তাঁকে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়েছে। এ দিন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ওই সময় বেশকিছু দলীয় কর্মী ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকে আক্রান্ত হয়ে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের একাধিক জনের শরীরে একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। চার-পাঁচজনের পা বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শত্রুতা থেকেও কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, এলাকায় বেশ দাপুটে ও জনপ্রিয় ছিলেন জাকির হোসেন। মূলত ব্যবসায়ী ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জাকির। যিনি জেলায় গরু পাচার নিয়ে প্রথম সরব হন। তাই নিয়ে দলের একাংশের বিরাগভাজন হন তিনি। সেই রাগ থেকেই এই ঘটনা কিনা, তদন্ত করে দেখছে জেলা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা দলে ১০-১২ জন ছিলেন। তারা সকলের মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন। ফলে সেভাবে কারও মুখ দেখা যায়নি। পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলা শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার। জেলা শীর্ষ নেতৃত্বরা কলকাতা থেকে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন।