দুই পক্ষ-ই খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, খড়্গপুর পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাসের বিরুদ্ধে খড়গপুর পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদী তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যে, তিনি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন খড়্গপুর টাউন থানায় এবং খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কৌশলী বঙ্গ বিজেপি! মনোনয়নের দিন নিয়ে বড় পরিকল্পনা
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেশচন্দ্র দ্বিবেদী'র বাড়ির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল বা প্রাচীর তৈরি হচ্ছে। যা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এক প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর অভিযোগ, জায়গা না ছেড়েই (২ বা ৩ ফুট!) তাঁদের দেওয়াল ঘেঁষে প্রাচীর তুলছেন সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদী। অভিযোগ পেয়েই বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাস খড়্গপুর পৌরসভার দুই প্রতিনিধিকে নিয়ে সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদী'র বাড়িতে যান এবং তাঁকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদীর অভিযোগ, বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাস বলেন তাঁকে বলেন, ''আপনি যেহেতু বেআইনিভাবে কাজ করছেন, ১০ লক্ষ টাকা দিলে তবেই কাজ করতে পারবেন। নাহলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে।''
আরও পড়ুন: 'দাবি মানি না, কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতা করতে হয়', দিলীপের মন্তব্যে অস্বস্তি পড়ল বিজেপিই
যদিও, মমতা দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, "মিথ্যে কথা বলছেন ওই ব্যক্তি। আমার সঙ্গে পৌরসভার দুই প্রতিনিধি ছিলেন। আমরা কি ওঁর কাছে টাকা চাইতে গিয়েছিলাম? সমস্যার সমাধান করতে গিয়েছিলাম। উল্টে উনি আমাদের প্রতিনিধি এবং আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। যা নিয়ে আমি এর আগেও খড়্গপুর টাউন থানাতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধ। পৌরসভার প্রতিনিধি এবং আমি বলেছিলাম দু'ফুট ছেড়ে পাঁচিল দিতে। কিন্তু, উনি তা শোনেননি। উল্টে আমাদের উপরে মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা রুজু করেছেন।" এরপরই, ঘটনার তদন্তে নেমে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ সুরেশের বাড়িতে পৌঁছে যায়। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় চরম বাকবিতণ্ডা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, পুলিশ ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন সুরেশ দ্বিবেদী। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য রেলশহর খড়্গপুরে।
---শঙ্কর রাই