চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পিছলে গেল পা! ভয়ঙ্কর দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল…দেখলে শিউরে উঠবেন!
তাই আদিবাসী মহল্লায় এখন চরম ব্যস্ততা। রং আর আঙুলের শিল্পকর্মে যেন ঘরকে রঙবাহারি করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলমহলের আদিবাসী গ্রামগুলির কুঁড়ে ঘরের দেওয়াল জুড়ে সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। তারা তাদের আঙুলের নিপুন আঁকি বুকিতে দেওয়াল জুড়ে আঁকেন তাঁদের জীবন কথা। সুখদুঃখ থেকে হাসি কান্না। চোখ জুড়িয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম। সেই রঙবাহারি দেওয়াল চিত্রের কথাই দেওয়াল চিত্রে। সজনী সরেন বলেন “আমাদের ঘর–দুয়ার সত্যিই খুব ছিমছাম থাকে। নিকানো উঠোন থেকে দেওয়াল। আর সহরায় উৎসবের আগে তাতে নতুন ছোঁয়া লাগে। উৎসবের প্রায় একমাস আগে থেকে এই ঘর রাঙিয়ে তোলার প্রস্তুতি চলে।”
advertisement
এই দেওয়াল চিত্র আজ নতুন নয়। চিত্রশিল্পের ইতিহাস বলছে, সেই প্রস্তর যুগ থেকেই আদিম মানুষজন গুহায় ছবি আঁকতেন। শিকারে যাওয়ার আগে তারা কল্পিত বন্যপ্রাণের ছবি ফুটিয়ে তুলতেন গুহার দেওয়ালে। তা এতই নিখুঁত এবং প্রাণবন্ত যে প্রশিক্ষিত অঙ্কনশিল্পীদেরও লজ্জায় ফেলে। ৩৬ হাজার বছরের পুরনো আলতামিরার গুহাচিত্র আজও শিল্পপ্রেমীদের চুম্বক আকর্ষণে টেনে রাখে। স্থানীয় এক লোকসংস্কৃতি গবেষক বলেন, “দেওয়ালে ছবি ফুটিয়ে তোলা সেই প্রস্তর যুগ থেকেই চলছে। যা এখন আদিবাসীদের অন্যতম সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের সহরায় পরবের আগে এই দেওয়াল চিত্র সত্যিই চোখ টানে।”
প্রথমে লাল মাটি দিয়ে নিকানো হয় ঘর দোর। তারপর তা শুকিয়ে গেলে, নানান রঙে রাঙিয়ে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলা হয়। ওই দু’আঙুলের জাদুতেই বাজিমাত। এভাবে নিজের শিল্পকর্মকে এমন মৌলিকত্বের মোড়কে তুলে ধরতে। কে বলতে পারে, যে কোনও নামী ইন্টিরিয়র ডিজাইনারের চেয়ে আপনার কাজ হয়ত অনেক গুণে সুন্দর, আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।