মঙ্গলবার চার দিনের জন্য মালদহ, ২ দিনাজপুর ও নদিয়া সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপে মালদহে পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শতাব্দী এক্সপ্রেস হাওড়ায় পৌঁছল দেরিতে। হাওড়া থেকে ছাড়লও দেরিতে।
- 12042 নিউ জলপাউগুড়ি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস
- এনজেপি থেকে ছাড়ার সময় সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে
advertisement
- হাওড়ায় পৌঁছনোর কথা ১টা ৫৫ মিনিটে
- 12041 হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস
- হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে
এনজেপি থেকে হাওড়া পৌঁছনোর পর ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে ২০ মিনিট ধরে পরিষ্কার করা হয়। ইনজিন বদলের পর ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন সব সময়ই ওলটপালট।
- হাওড়া স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর কথা দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে
- ট্রেন এসে পৌঁছল দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে
- দুপুর ২টো ৩৩ মিনিটে ট্রেনে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আধিকারিকরা
- ট্রেন ছেড়ে বেরনোর কথা দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে
- হাওড়া থেকে ট্রেন ছেড়ে বেরোল দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটে
ট্রেন দেরি করে ছাড়ার কথা স্বীকার করেছে রেল। এই ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বভার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের হাতে। যদিও তাদের দাবি, পূর্ব রেলের কারণেই ট্রেন দেরিতে চলেছে।
ট্রেন যথাসময় এনজেপি থেকে ছাড়ে। আমাদের অন্তর্গত এলাকাতে কোনও দেরি হয়নি। কেন ট্রেন দেরিতে ঢুকল এবং মুখ্যমন্ত্রী কেন ট্রেনে দেরিতে উঠলেন তা পূর্ব রেল বলতে পারবে।
সাঁইথিয়া-রামপুরহাট সেকশনে থার্ড লাইন তৈরির কাজ চলছে। যার জন্য বহু জায়গায় ট্রেন ডাইভার্ট করা আছে। ট্রেন ধীরে চালানোরর কথা বলা আছে। তাই অল্প সময় দেরি হয়েছে। তবে কোনও ট্রেনেরই দেরিতে চলা উচিত নয় বলে আমরা মনে করি।
গত ১ সপ্তাহে রেলমন্ত্রী বারবার করে অফিসারদের মনে করিয়ে দিয়েছেন ট্রেন দেরিতে চলবে না। কিন্তু তাও ট্রেন দেরির কবলে পড়লেন খোদ প্রাক্তন রেলমনন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।