মুখ্যমন্ত্রী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও তাতে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট নেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের আধিকারিকদের আরও তৎপর হতে বলেন। ত্রাণ বণ্টনের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন তিনি। প্রায় পৌনে একঘণ্টা বৈঠক চলে। জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে এই বৈঠক হয়। এরপর বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যার জল নামতে শুরু করলেও ফের ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই প্রশাসনকে তৈরি থাকতে হবে। ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দুর্গতদের উদ্ধার করে আনতে হবে। পুজো আসায় স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে যাবে। সেখানে ত্রাণ শিবির খোলা যেতে পারে। দুর্গতদের যাতে খাদ্য পানীয় জলের কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে হবে।’
advertisement
আরও পড়ুন: গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন
তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় আমরা শুকনো খাবার দিয়েছি। পাঁচ কেজি করে চাল বা মুড়ি, মুসুর ডাল, আলু,আধ কেজি করে তেল দেওয়া হয়েছে। যাঁদের ঘর পড়ে গিয়েছে তাদের একটা করে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। যাদের তালিকায় নাম রয়েছে তারা ডিসেম্বর মাসে বাংলা আবাস যোজনার টাকা পারে। তালিকায় নাম না থাকলেও বন্যায় বাড়ি ভেঙে যাওয়া বাসিন্দারাও যাতে টাকা পান তা দেখা হবে।’ তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনও তিনি বন্যার জন্য ডিভিসিকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘বার বার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। ড্রেজিং না হওয়ায় জলাধারগুলির জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। সেখান থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল সবই ডিভিসির এবং কেন্দ্রের হাতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজ করেনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর, কৃষিজমি ডুবে যাচ্ছে। শস্যজমি ডুবে যাচ্ছে।’ পরিস্থিতি নজরে রাখতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে।