সরকারি কাজে কাটমানি নিয়ে হুগলির প্রশাসনিক সভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চুঁচুড়া স্টেডিয়ামের কাজ নিয়ে দলীয় বিধায়ককে ভর্ৎসনা। কেন স্টেডিয়াম তৈরিতে ১৪ কোটি লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়াম করতে ১৪ কোটি টাকা লাগে? কাট মানি-কমিশন খাওয়া বন্ধ কর ৷’
সরকারি প্রকল্পের জন্য লবি করা চলবে না। হুগলিতে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব নিয়ে বলতে গিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তারকেশ্বর-জয়রামবাটি-তারাপীঠ বাস চালু হবে ৷ হুগলিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি হবে ৷ জায়গা আমি পছন্দ করব, কারও লবি শুনব না ৷’
advertisement
তারকেশ্বরে প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন তিনি বলেন, ‘টাকা চাইলে টাকা দেব ৷ মাছ চাইলে মাছ দেব ৷ প্রয়োজনে অন্য দিঘি বানিয়ে দেব ৷ স্থানীয়রা যা চাইবেন তাই দেব ৷ ভাবাদিঘিতে রেলের প্রকল্প বন্ধ হবে না ৷ বছরে ৩-৪ বার পরিদর্শন জরুরি ৷ OC, IC-কে নিয়মিত যেতে হবে ৷ ICDS সেন্টারে নিয়মিত যেতে হবে ৷ ১২ জুন রাজ্যজুড়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ৷ ১৮ হাজার রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ৷ ৬০ দিনের কম কাজ হলে রেয়াত নয় ৷ এবার সেই কাজ পুষিয়ে দিতে হবে ৷ জেলায় ১০০ দিনের কাজ ভাল নয় ৷ কর্মীদের বেতন সুনিশ্চিত করতে হবে ৷ এটা আমি বরদাস্ত করব না ৷ ১ কর্মী আত্মহত্যা করেছেন ৷ রিষড়া সেবাসদনের কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না ৷’ রিষড়া সেবাসদন অধিগ্রহণের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ৷
গবাদি পশু হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। কে কী পরবেন, কী খাবেন সেটা একান্তই তাঁর নিজের ব্যাপার। ধর্মের অভ্যাসও নাগরিকের নিজস্ব অধিকার। তারকেশ্বরে বললেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
নোট বাতিলের ধাক্কা। একধাক্কায় প্রায় ২ শতাংশ কমেছে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার। নোটবাতিলের জেরেই এই হাল। এখনও নোটবাতিলের পক্ষেই যুক্তি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এমনটাই যে হতে চলেছে, নোট বাতিলের পরই সেই আশঙ্কা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনেও নামেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, শুধু আর্থিক বৃদ্ধিই নই। নোট বাতিলের জেরে ভয়াবহ সংকটের মুখে দেশ।