পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে প্রাথমিক ভাবে প্রথা মেনে দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুর তিন দিন পরে পরিবারের সদস্যরা একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পায়। মোবাইল ফোন থেকেই রহস্য দানা বাঁধে পরিবারের সদস্যদের মনে। জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা মোবাইলে কল রেকর্ডিং শুনে জানতে পারে, পাশের গ্রামের বাবলু সরদারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে মৃতের স্ত্রী'র৷ যার জেরে বাবলু ও আমিনুরের স্ত্রী জোহরা মোল্লা পরিকল্পনা করে খাবারে বিষ মিশিয়ে আমিনুরকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে স্ত্রী জোহরা মোল্লা ও বাবলু সরদারকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটা থানায় বিষয়টি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমিনুরের পরিবারের লোকেরা। আমিনুরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয়েছে মৃত আমিনুরের দেহ। এরপর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে বুধবার জোহরা এবং বাবলু সর্দারকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: 'পরিকাঠামো নেই, দুয়ারে রেশন অসম্ভব!' শুরুর আগেই আদালতে পৌঁছল জনপ্রিয় প্রকল্প
গাইঘাটায় এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত বছর অক্টোবর মাসে স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের ঘরে খাটের নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মাটি খুঁড়ে নিহতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি পুকুর পাড়ে রক্ত দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। খবর যায় গাইঘাটা থানায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে সংলগ্ন বাঁশবাগান থেকে জুতো, মাস্ক ও টর্চ খুঁজে পায়। এলাকারই বাসিন্দা সুজিত দাসের বাড়ির সামনেও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সূত্র ধরে সুজিত দাসের বাড়ির খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। এবার আবার সেই গাইঘাটায় ঘটল একই ধরনের ঘটনা।