জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম পায়েল রায় (১৩)৷ তার বাড়ি গোঘাটের নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের মালিপুকুর এলাকায়। সে হাজিপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।
স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এ দিন স্কুল ছুটির পর নিজের সাইকেল নিয়েই বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী৷ তার সঙ্গে আরও দুই বান্ধবীও ছিল৷৷ কিন্তু স্কুল থেকে কিছুটা এগোতেই বাকি দুই ছাত্রীর একজনের সাইকেলের চেন পড়ে যায়৷ তাই ওই দুই ছাত্রী দাঁড়িয়ে যায়৷ কিন্তু নিজের সাইকেল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল৷ তখনই আচমকা প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ে৷ তড়িদাহত হয়ে সাইকেল নিয়েই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ছাত্রীটি৷ অল্পের জন্য রক্ষা পায় তার সঙ্গে থাকা বাকি দুই পড়ুয়া৷
advertisement
সেই সময় আকাশ মোটামুটি পরিষ্কারই ছিল বলে দাবি শিক্ষকদের৷ সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্কুলের শিক্ষকরা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দা এবং আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগও নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দেন৷ সেই গাড়িতে করেই আহত ছাত্রীকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যেও৷ মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক ছাত্রীর বাবা-মাও৷ জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত৷ দুই সন্তানের মধ্যে পায়েলই বড় ছিল৷