পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার গাংপুর বাজারে রাস্তার ধারে পার্টি অফিস। সেই অফিস গেরুয়া রঙে রাঙানো। পদ্মফুল আঁকা। সেই অফিসের দখলদারি নিয়েই যত গোলমাল। বুধবার সকাল থেকেই এই পার্টি অফিসের দখল নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বেলা দশ'টা নাগাদ গোলমালের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় শক্তিগড় থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, বিবাদমান দু'দলের মধ্যে কয়েকজন সমর্থক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ কোনও তালা দেয়নি। তাঁরাি পুলিশের হাতে চাবি তুলে দেয়। এদিন অশান্তি কমাতে দু'দলকেই থানার পক্ষ থেকে সংযত থাকতে বলা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
advertisement
স্থানীয় বিজেপি নেতা মন্মথ অধিকারী বলেন, "প্রতিদিনের মত এদিনও অফিস খুলে বসেছিলেন দলের কিছু কর্মী। সেই সময় হঠাৎই তৃনমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী জোর করে অফিসে ঢোকে। তারা আমাদের কর্মীদের টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়। এলাকায় পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে বুঝেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গায়ের জোরে এলাকা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃনমূল। পুলিশ যে তৃনমূলের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে অফিসের চাবি তাদের হাতে ওঠাতেই তার প্রমাণ মিলেছে। অবিলম্বে আমাদের হাতে অফিসের চাবি তুলে না দেওয়া হলে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল, ধিক্কার সভা-সহ জোরদার আন্দোলন হবে।"
তৃনমূল নেতা সেখ আজাদ রহমান বলেন, "ওই অফিস তৃনমূল কংগ্রেসের কর্মীদের হাতেই তৈরি। লোকসভা ভোটের পর বিজেপি গায়ের জোরে ওই পার্টি অফিসের দখল নেয়। তৃনমূল নেত্রীর ছবি, দলীয় পতাকা ফেলে দিয়ে গেরুয়া রঙ করে নেয়। তখন এলাকায় উত্তেজনা বাড়বে ভেবে আমরা সংযত আচরন করেছি। এখন এলাকায় বিজেপির কোনও সমর্থন নেই। নিয়মিত তারা অফিসও খুলতে পারে না। এলাকার কর্মীদের দাবি মেনে আমরা পার্টি অফিস খুলতে গেলে এক বিজেপি নেতা কিছু লোকজন জুটিয়ে বাধা দেয়। আমরা অশান্তি চাইনি। আমরাই অফিসে তালা দিয়ে চাবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক আমাদের দাবি সঠিক কিনা।"
Saradindu Ghosh