বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজারে রয়েছে সুদৃশ্য ক্যাথলিক চার্চ। এখানে শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকাল সাড়ে ন'টা থেকে দফায় দফায় প্রার্থনা সভা চলছে। নানান মডেলে সেজে উঠেছে চার্চ চত্বর। এবার এই গির্জায় সাধারণ মানুষের প্রবেশে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। এছাড়া বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের কাছেই রয়েছে প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ। এখানেও শুক্রবার রাত থেকে বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়েছে। গির্জার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে এবার সাধারণের প্রবেশ অবাধ রাখা হয়েছে। তবে উৎসব হচ্ছে সব রকম কোভিড বিধি মেনেই। দর্শকদের লাইন দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে গির্জায়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর বাড়তি নজরদারি রয়েছে।
advertisement
বড়দিন উপলক্ষে আলো-ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চার্চ দুটি। এছাড়াও বর্ধমান শহরের লাকুরডির চার্চকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। গতবার করোনার কারণে এই শহরে বড়দিনের উৎসব অনেকটাই ম্লান ছিল, গির্জায় তেমন ভিড় ছিল না। করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় চার্চ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাড়তি সাজসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণে ঘর থেকে বের হননি অনেকেই! এবার কিন্তু অনেকটাই ছন্দে ফিরল বর্ধমানের বড়দিন।
বাসিন্দারা বলছেন, টানা দু'বছর করোনার কারণে বড়দিনে সেভাবে আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই এবার করোনা একেবারে বিদায় না নিলেও ততটা আতঙ্ক আর নেই। অনেকেই করোনার দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। তাই ছোটদের হাত ধরে বড়দের গির্জায় ভিড় করতে দেখা গেল।