এই প্রাণ ফিরে পাওয়া যুবক পিন্টু ঘোষের বাড়ি নদিয়া জেলার রানাঘাট থানার বিদ্যানন্দনপুর গ্রামে। তিনি স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে নিয়ে মোটর সাইকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি নাদনঘাট থানার জাকর গ্রামে। এস টি কে কে সড়ক ধরে তাঁর গন্তব্যস্থল ছিল বলাগড়। তারপর ভাগীরথী নদী পার হয়ে বিদ্যানন্দনপুর। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই কালনার জিউধারা রেলগেটে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল চায়না মাঞ্জা নামক মরণ ফাঁদ। মোটর সাইকেলের সামনে ঘুড়ির সেই সুতো এসে যায়। গলার সঙ্গে জড়িয়ে যায় তা। গলা কেটে গিয়ে গলগল করে রক্ত বের হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে স্হানীয় বাসিন্দা তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর গলায় দশটি সেলাই পড়ে। তিনি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
advertisement
আরও পড়ুন: আরজিকর হাসপাতাল থেকে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! মানসিক অবসাদ থেকেই কি ‘আত্মহত্যা’?
হাসপাতালের বেডে শুয়ে পিন্টু ঘোষ বললেন, "একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেলাম। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আরও অনেকের ক্ষেত্রে আবারও ঘটতে পারে তাই প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন এই রকম প্রাণঘাতি চায়না মাঞ্জা দেওয়া সুতোর ব্যবহার বন্ধ হোক। তা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।"
আরও পড়ুন: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই আবহাওয়ায় বড় বদল
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "হঠাৎই ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে যাওয়ায় ওই যুবক মোটর সাইকেল চালানোর সময় বেসামাল হয়ে পড়েন। কোনও রকমে মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়ে তিনি সুতো সরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই মাঞ্জা দেওয়া সেই সুতো তাঁর গলায় গভীর ক্ষত তৈরি করে। এই সময় মোটর সাইকেল উল্টে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।"