সোমনাথ ঘোষ, চন্দননগর: মাস কয়েক আগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন মা বাবা। এবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মেয়ের। চন্দননগর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম শর্মিষ্ঠা দাস (৪৩)।
advertisement
গত ৬ জুন চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকার এক পরিবারের বাবা মা মেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বৃদ্ধ দম্পতি একেন্দ্র নাথ দাস (৮৭), সুনীতা দাস (৮৩) ও তাদের মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস। অচৈতন্য অবস্থায় তাদের তিনজনকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সফর শেষেও মনে লেগে আছে ভারত! এ দেশের কোন জিনিসটা সবচেয়ে টেনেছে তাঁকে, জানিয়ে দিলেন পুতিন
শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারে অনটনের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে সেদিন জানিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে শর্মিষ্ঠাকে দেখা যায়নি। এক পরিচিত জানান, খাবার দিয়ে গেলেও খেত না। জানালার ফাঁক দিয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে পায় ঘরে পড়ে রয়েছে শর্মিষ্ঠা। দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এরপরই পুরসভা ও পুলিশে খবর যায়। চন্দননগর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এক সময় এই পরিবার খুবই বিত্তশালী ও স্বচ্ছল ছিল। কোলিয়ারী ব্যবসা ছিল বাড়ির কর্তার। পরবর্তী সময়ে তাদের আর্থিক অনটনে দিন কাটছিল। তা থেকেই মানসিক অবসাদের কারণে এই পরিণতি হতে পারে।
