শহরের বিদ্যুতের তারকে মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। খুশি সাধারণ মানুষ থেকে পুজো উদ্যোক্তারা। আসন্ন জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে শুক্রবার চন্দননগরের রবীন্দ্র ভবনে বিদ্যুৎ দফতরের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে বিদ্যুৎ দফতরের প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে মাননীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা নতুন বছরের শুরু থেকেই চন্দননগরে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলিংয়ের কাজ শুরু হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নিয়ম! কী কী সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা, জেনে নিন বিস্তারিত
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সিএমডি শান্তনু বসু, হুগলির জেলাশাসক, চন্দননগরের মেয়র -সহ অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় আলোর মালায় সেজে ওঠে চন্দননগর। বিশ্ববিখ্যাত এই শহরের খ্যাতি তার অসামান্য আলোক শিল্পের জন্যও। শহরের সবচেয়ে বড় উৎসব, জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেই আলোর রোশনাই দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ভিড় করেন বহু মানুষ। নজর কাড়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বিসর্জনের শোভাযাত্রার আগে শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। অন্ধকারে ডুবে যায় শহর। আগামী বছর থেকে তাতে ইতি।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২০৯ কোটি টাকার মুনাফা বন্ধন ব্যাঙ্কের
বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘বহু পুরনো শহর চন্দননগরে বহু দিন ধরেই উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার রয়েছে। শোভাযাত্রার জন্য তার কেটে দিতে হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চন্দননগর। পানীয় জলেরও সমস্যায় পড়েন শহরবাসী। মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে গেলে সেই সমস্যা আর থাকবে না। এর পর থেকে আলোর শহরে বিসর্জনের শোভাযাত্রাও হবে আলো জ্বালিয়ে।’’
মন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। সে জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, "২০১৬ সালে আমি বলেছিলাম এই কাজ করা হবে। অবশেষে সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। মানুষের সুবিধা হবে আগামীবছর থেকে।"সরকারি উদ্যোগে খুশি চন্দননগরের পুজো উদ্যোক্তারা। কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সভাপতি শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘‘দশমী ও একাদশীর দিন শহরবাসীর খুব অসুবিধা হত। বিশেষ করে পানীয় জলে। আগামী বছর আরও ভাল করে পুজো করতে পারব।’