সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে বাগবাজার পুজো কমিটি বলছেন, তাঁরাই একমাত্র পারেন এই কাজ করতে। কারণ এই বছর যে বাগবাজারের প্রতিমা বানিয়েছে তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয় এর ক্লাস নাইনের ছাত্র অনিকেত পালের হাতে তৈরি হয়েছে এই বছরের বাগবাজারের প্রতিমা। পুজো উদ্যোক্তারা মনে করছেন ঠাকুরের মাপজোখে একটু ভুল হলেও ১৫ বছরের কিশোরের হাতে মায়ের মৃন্ময়ী রূপ দান হয়েছে-এই সাহসিকতার কাজ একমাত্র বাগবাজার সর্বজনীনই করতে পারে।
advertisement
চন্দননগর দুপ্লে পট্টি থেকে এগিয়ে এলে যে পালপাড়া, সেখানেই বাবার থেকে মাটির কাজ শিখছে অনিকেত। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাগবাজারের ঠাকুর বানিয়ে আসছিলেন অনিকেতের দাদু। দাদুর মৃত্যুর পরে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে নাতির কাঁধে। প্রথম বছর এত বড় ঠাকুর বানানোর দায়ভার এসে পড়েছিল ক্লাস নাইনের এই পড়ুয়ার উপর। সে চেষ্টা করেছে তার সবটুকু দিয়ে। তবে দর্শনার্থীদের চোখে হয়তো তার কাজ সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি সেই নিয়ে কিশোরের মনে দুঃখ রয়েছে বিস্তর। তবে আগামী দিনে সে তার কাজ আরও ভাল করে তুলে ধরে তার শিল্পী সত্তা ফুটিয়ে তুলতে চায় মানুষের কাছে।
আরও পড়ুন : তিতিনদী ঘিরে পাহাড়, চাবাগানের এই স্বপ্নপুরীতে হারিয়ে যেতে আসুন ছোট্ট ছুটিতে
এ বিষয় খুদে মৃৎশিল্পী অনিকেত পাল বলে, এই প্রথম বছর এত বড় ঠাকুর তৈরি করল সে। বাগবাজারের ঠাকুরের মুখাবয়ব ছাঁচে তৈরি হয় না। পুরো ঠাকুরটাই তার হাতে বানানো। প্রথম বছর উঁচু বাঁশের উপরে উঠে কাজ করতে গিয়ে ভয় লেগেছেও বিস্তর। তবে সমস্ত ভয় কাটিয়ে সে ঠাকুর বানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যে সমালোচনা হচ্ছে সে কথাও অবগত ছোট অনিকেত। এই বিষয়ে সে বলছে, প্রথম বছর যা ভুল ত্রুটি হয়েছে, মানুষ যা বলছেন তার থেকে সে শিক্ষা নিয়েছে। যাতে আগামী দিনে সে তার হাতের কাজ আরও দক্ষভাবে করতে পারে।