বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী সেবিত ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির থেকে চরণপাদুকা এদিন সকালে নবদ্বীপ থেকে রওনা হয়ে আসে দমদম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছবে এই বিশেষ চরণ পাদুকা। নবদ্বীপের মহাপ্রভু পাড়ার ধামেস্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরের সেবাইত সুদিন গোস্বামী জানিয়েছেন, মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ অত্যন্ত গভীর। সিলেটের দক্ষিণ ঢাকায় ছিল মহাপ্রভুর পিতার বাড়ি। পিতৃভূমিতে তিনি একবারই গিয়েছিলেন। তারপর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না।
advertisement
এই পাদুকা চট্টগ্রামের যামিনীমোহন সেন হলে আগামী চারদিন শোভিত থাকবে। সেখানে শ্রীশ্রী হরিভক্তি প্রচারনী সভা আয়োজিত চারদিন ব্যাপী বিশেষ পুজোপাঠ ও নামসংকীর্তনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা মহাপ্রভুর চরণ পাদুকা দর্শন করতে পারবেন। দুই বাংলার মধ্যে সৌহার্দ্যের বার্তা দিতেই এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন সেবাইত সুদিন গোস্বামী।
মহাপ্রভুর চরণ পাদুকার বাংলাদেশ যাত্রা উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই নবদ্বীপে ছিল সাজ সাজ রব। বাংলাদেশ যাত্রার আগে চরণপাদুকা দর্শনের জন্য সকাল সকালই মন্দিরে নেমেছিল ভক্তদের ঢল। চরণপাদুকা নিয়ে মন্দিরের প্রতিনিধিরা রওনা হওয়ার আগে ভক্তরা তা ছুঁয়ে প্রণামও করেন।
আরও পড়ুন
বীরভূমে ভয় দেখিয়ে নাবালককে স্বমেহন করানোর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
পুরো যাত্রাপথ এদিন নিশ্চিদ্র পুলিশি প্রহরায় মোড়া ছিল। নবদ্বীপ থেকে সড়কপথে পুলিশের পাইলট কার সহ ভিআইপি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রওনা হয় মহাপ্রভুর পাদুকা জোড়া। এরপর দমদম বিমানবন্দর থেকে বিশেষ উড়ানে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশে। মন্দির সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে ফের চট্টগ্রাম থেকে নদিয়ার নবদ্বীপ ধামের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে এই বিশেষ পাদুকা।