2013 সালের পয়লা জানুয়ারি কালনা ধাত্রীগ্রামে এক মাস বয়সী মহিলাকে খুন করে অপারেশন সূচনা হয় চেনম্যানের। ওই বছরের 27 শে জানুয়ারি মন্তেশ্বরে এক বৃদ্ধাকে খুন করে চেনম্যান। সে বছর মার্চ মাসে কালনার এক মহিলাকে খুনের চেষ্টা করেছিল সে। তবে ধরা পড়ার আগে এক বছরে তার অপরাধ প্রবণতা মারাত্মক রকমের বেড়ে গিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। 2018 সালের 4 অক্টোবর কালনা থানার শিবরামপুরে এক গৃহবধূকে চেন দিয়ে পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা চালায় চেনম্যান। 2019 সালের 2 ফেব্রুয়ারি কালনা থানার উপলতি গ্রামে 65 বছরের এক পৌঢ়াকে খুনের চেষ্টা চালায় সে। 2019 সালের 15 ফেব্রুয়ারি এক মহিলাকে খুন করে সে।
advertisement
সে বছরের পয়লা এপ্রিল কালনা থানার ধর্মডাঙ্গায় এক গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা করে চেন ম্যান। তার পরদিন 2 এপ্রিল মেমারি থানার বোড়ায় এক গৃহবধূকে খুন করে সে। পরদিন 3 এপ্রিল মেমারি সাতগেছিয়ায় এক গৃহবধূকে খুন করে সে। পর পর খুন করেও সে এলাকায় আশ্চর্যরকমের স্বাভাবিক থাকতো।
2019 সালের 11 মে পান্ডুয়া থানা এলাকায় এক মহিলাকে খুনের চেষ্টা চালায় সে। 16 মে ফের পান্ডুয়া থানার এক মহিলাকে খুনের চেষ্টা চালায় চেন ম্যান। 22 মে কালনা থানার গোয়াড়া মল্লিক পাড়ায় এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে খুন করে চেনম্যান। তার আগে গোয়াড়া বাজারের এক দোকান থেকে লোহার চেন কিনেছিল সে। 27 মে মন্তেশ্বর থানা শ্যামনগর গ্রামে এক গৃহবধূকে খুন করে সে। এরপর 30 শে মে কালনা থানার সিঙেয়ের কোনে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে খুন করে চেন ম্যান কামরুজ্জামান। সেই ঘটনায় মৃত্যুদন্ডের সাজা হয়েছে তার।