চেনম্যানের কীর্তিতে হতবাক পরিবার। একের পর এক মহিলাকে খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে সহবাসের চেষ্টা করত কামারুজ্জামান। এরপর রড দিয়ে যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে দিত। স্বামীর নৃশংসতাকে ক্ষমা করতে নারাজ কামরুজ্জামানের স্ত্রী। স্বামীর কঠোরতম শাস্তি চান জাহানারা বিবি। স্বামীর বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন স্ত্রী। দুই সন্তানের জন্মের পর মুর্শিদাবাদের এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে জড়ায় কামরুজ্জামান। তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিল।
advertisement
এদিকে, বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনা বন্ধকের রসিদ নিয়ে চেনম্যানের স্ত্রী ও শাশুড়ির কথায় ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। জাহানারা বিবির দাবি, এ সোনা তাঁর ও তাঁর মায়ের। যদিও জাহানারার মা প্রথমে বলেন, সোনা কার তিনি জানেন না। পরক্ষণেই বক্তব্য বদলে বলেন, সোনা তাঁদেরই। কামরুজ্জামানের পেশা নিয়েও দু'জনের বক্তব্যে বাড়ছে ধোঁয়াশা। তাঁদের ফের জেরা করবে পুলিশ।
পাড়ার জামাইকে ভালোমানুষ বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। এখন কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তাঁরাও। ছ'বছর আগে খুনে হাতেখড়ি হলেও কালনার চেনম্যানের অপরাধপ্রবণতা নতুন নয়। আগেও কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিকবার চুরির অভিযোগ উঠেছে।
--চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে হুগলির বলাগড়ে গণধোলাই খেতে হয়েছিল কামরুজ্জামানকে
--শেষমেশ পুলিশই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে
--পরে অবশ্য হাসপাতাল থেকে চম্পট দেয় সে
--মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতেও চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে জেল খাটতে হয়
এই সব ঘটনায় শুধুই বাড়িতে ঢুকে চুরি...নাকি খুনের অভিসন্ধিও ছিল, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। যোগাযোগ করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ ও হুগলির জেলা পুলিশের সঙ্গে।