পরিবারের হাল সামলাতে জঙ্গিপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ক্ষুদিরাম মোড় এলাকায় ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে মনোজের। প্রায় ২৭ বছর ধরে সেখানেই দোকানদারি করছেন তিনি। চা তৈরি করতে করতেই বিভিন্ন শিল্পীর গান গাওয়া এবং দোকানে চা খেতে আসা লোকেদেরকে সেই গান শোনানো মনোজের নেশা। সকালে এসে দোকান খোলা থেকে শুরু করে চা তৈরি এবং খদ্দেরদের হাতে সেই চা হাতে তুলে দেওয়া, সব কাজটাই একা হাতে করতে হয় মনোজকে। তবে গান পাগল মনোজ তার খদ্দেরদের আরও ভালো ভালো গান শোনাবেন বলে কিনে ফেলেছেন অত্যাধুনিক একটি ‘সাউন্ড সিস্টেম’। একহাতে মাইক্রোফোন নিয়ে অন্য হাতে চলতে থাকে চা তৈরি করে তা খদ্দেরদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ। আর সেই খদ্দেরদের অনুরোধে একের পর এক ৮০ এবং ৯০ দশকের গান গেয়ে চলেন মনোজ।
advertisement
মনোজ বলেন,” ছোট থেকেই আমার গানের নেশা। সারাদিনে আমি অসংখ্য গান শুনি, কারণ গান না শুনলে গান গাওয়া যায় না। মহম্মদ রফি আর সাব্বির কুমারের গান আমার গলায় বেশি মানায়। তবে এই চায়ের দোকান আমার কর্মস্থল।” গান শুনতে তার চায়ের দোকানে ভিড় জমছে সাধারণ মানুষের। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “মনোজার দোকানের খুব কাছেই আমার স্কুল। তাই সুযোগ পেলেই আমি ওর দোকানে চা খেতে তার সঙ্গে গান শুনতে চলে আসি। বর্তমান সময়ে প্রকৃত সঙ্গীতপ্রেমীর খুবই অভাব। এখনকার ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোনের নেশায় মগ্ন। সেখানে মনোজের গানের প্রতি এই টান আমার খুবই ভাল লাগে। আমিও সময় সুযোগ পেলে মনোজের সঙ্গে একটু গান গুনগুন করে দিই।”