বাগনানের মুগকল্যাণের পল্লী ভারতী গ্রন্থাগার।
ধুলো মাখা বইয়ের র্যাক, দেওয়াল, বাড়িতে জড়িয়ে হাজারও ইতিহাসের স্মৃতি....
সালটা ১৮৮৮। সেসময় বিপ্লবীদের গোপন ডেরা ছিল এই গ্রন্থাগার। ১৯২২ সাল পর্যন্ত এখানেই বিপ্লবীরা স্বাধীনতা আন্দোলনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করতেন। তখন গ্রন্থাগারের নাম ছিল মুগকল্যাণ সংঘ। ১৯৩৪ সালে নাম বদলে মুগকল্যাণ ইনস্টিটিউট হয়। ব্রিটিশদের অত্যাচারে বহু মূল্যবান নথি, বইপত্র নষ্ট হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর থেকে পল্লী ভারতী গ্রন্থাগার নামেই পরিচিত এই লাইব্রেরি।
advertisement
এই লাইব্রেরিতে প্রায় ১৬ হাজার ৬০০ বই রয়েছে। তার মধ্যে ২৫০ টি এখন দুষ্প্রাপ্য। ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে মুদ্রিত বিভিন্ন বই, বঙ্গদর্শন, প্রবাসী, দৈনিক বসুমতী, অমৃত, শনিবারের চিঠির মত অনেক মূল্যবান বই রয়েছে। এই লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা প্রায় ৮০০। নিয়মিত বৃত্তি সহায়তা কেন্দ্র, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, আধুনিক সব সুবিধাই রয়েছে গ্রন্থাগারে ।
বৃহস্পতিবার অবসর নেন লাইব্রেরিয়ান তপন গুড়িয়া। সেই যে দরজায় তালা পড়েছে, আর খোলেনি। সমস্যায় পড়ুয়া, গ্রামবাসীরা।
প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের এখন একটাই আবেদন, দ্রুত কর্মী নিয়োগ হোক পল্লী ভারতী গ্রন্থাগারে। আবার আলো জ্বলুক শতাব্দী প্রাচীন লাইব্রেরিতে..... বাঁচুক ইতিহাস।