সাত সদস্যের দলে কৃষি, মৎস্য, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা থাকছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রে খবর, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উত্তর ২৪ পরগণার ধামাখালিতে প্রথমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেখান থেকে সন্দেশখালি-১, সন্দেশখালি-২ ও ন্যাজাট-১ ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তারা প্রথমে যাবেন পাথরপ্রতিমা কলেজে। সেখানে তারা বৈঠক করবেন। এরপর পাথরপ্রতিমার একাধিক গ্রাম তারা ঘুরে দেখবেন। নদীপথেও একাধিক জায়গায় তারা যাবেন।
advertisement
আরও পড়ুন হাতির 'বিশ্বাস' রাখতে পারল না মানুষ! খুনিদের কড়া শাস্তি হবে জানালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই দুই জেলা আমফানের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হওয়ার কারণে এখানেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আগে আসবেন। আগামী ৬ জুন দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে তাদের নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার কথা আছে। রাজ্য সরকারের দাবি, আমফানের প্রভাবে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি৷ ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৯৮ জন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ত্রাণ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ৬৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় কৃষক ও পানচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ভেঙে পড়া বাড়ি মেরামতের জন্যেও টাকা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের ক্ষতির পরিমাণ বাবদ ১৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। পোলট্রির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ কোটি টাকা। গবাদি পশু মারা যাওয়ার কারণে ১২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আপাতত সমস্ত জায়গায় সুষ্ঠ ভাবে যাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারা যায় সেই চেষ্টাই করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের হাতে তারা সমস্ত তথ্য তুলে দেবেন।