বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামল রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ীই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান জেলা অফিসে ১২ জনের সশস্ত্র সিআরপিএফের একটি দল ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন। শুধু তাইই নয়, পার্টি অফিসে কারা কারা ঢুকছেন এবং বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই পার্টি অফিসের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
শুধু জেলা বিজেপি পার্টি অফিসই নয় বর্ধমান শহরের টাউন হল পাড়ায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জেলা কার্য্যালয় মধুকর ভবনেও একই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ভবনে থাকা আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসলে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি নিতে হচ্ছে। তাঁরা অনুমতি দেবার পরই যাবার ছাড়পত্র মিলছে।
মধুকর ভবনে থাকা আরএসএসের সহবিভাগ প্রচারক সৃজন কুমার হাজরাও জানিয়েছেন, চারিদিকে যে ধরণের অশান্তি চলছে তার জন্যই তাঁরাও আশঙ্কা করেছিলেন তাঁদের এই ভবনে হামলা হতে পারে। তাই এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, শ্যামল রায় জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের ভরসা আছে। তাঁরাও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি একেবারেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিষয় তাই তাঁরা এব্যাপারে কিছু বলত পারবেন না। এদিকে কেন্দ্রীয়বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।এটা হাস্যকর বিষয় বলে দাবী তৃণমূলের।