তবে এবার রানাঘাট পুলিশ জেলার উদ্যোগে শান্তিপুর থানায় ফুলিয়া টাউনশিপ, নবলা, বেলঘড়িয়া ১ এবং ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ব্যবসায়ী সংগঠন এবং এই চার পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রানাঘাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ১০ শতাংশ খরচ তারা সহযোগিতা করবেন বলে প্রস্তাব দেন। যদিও এতে আগ্রহী হয়েছেন বেশ কিছু বাজার কমিটি । তবে শহরাঞ্চলে জনবসতি ঘন হওয়ার কারণে যে সুবিধা হয় গ্রামের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত অর্থাৎ প্রতিস্থাপন খরচ অনেকটাই বেশি। কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপদের স্বার্থে এবার সেই দিকেই এগোচ্ছেন তারা।
advertisement
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে ৮১ টি সিসি ক্যামেরা আগামীতে বসতে চলেছে এই চার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ব্যবসায়িক অঞ্চল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। যদিও এর আগেই বিভিন্ন পঞ্চায়েত সরকারের অফিস এবং ব্যক্তিগত ভাবে সিসি ক্যামেরা ইতস্তত ভাবে থাকলেও সার্বিকভাবে গ্রামীণ ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ এই প্রথম। তবে ইলেকট্রিক পোলের সঙ্গে লাগানো কিংবা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে লাগানো কিংবা পর্যাপ্ত আলো এ সমস্ত নানান অসুবিধার কথাও এদিন ব্যবসায়ীরা আলোচনা করেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ East Bardhaman News: রাস্তায় নেচে অর্থ উপার্জন করেন বর্ধমানের অরুণ, কারণ জানলে মুগ্ধ হবেন আপনিও
বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী বর্মন জানান, বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আপাতত বিষয়টি আলোচনা স্তরে রয়েছে। তবে এসডিপিও ম্যাডাম শৈলজা দাস অত্যন্ত আন্তরিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা লিপিবদ্ধ করে তার সমাধানের চেষ্টা করছেন। আগামী সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ দফতর সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আরও একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। তবে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই শুভ উদ্যোগে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
Mainak Debnath