হাই কোর্টের মতো সুপ্রিম কোর্টেও সিবিআই-এর হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এবং শীর্ষ আদালতেও চার নেতার জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সিবিআই অফিসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এবং নিম্ন আদালতে আইন মন্ত্রীর হাজির থাকার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যদিও পাল্টা দুই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বা আইন মন্ত্রী আদালতে যাওয়ায় কেন জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন অভিযুক্তরা? বেশ কিছুক্ষণ সওয়াল জবাব চলার পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে তুষার মেহতাকে বলা হয়, 'আপনারা চাইলে আমরা মামলার শুনানি শেষ করে রায় দিয়ে দেব। নাহলে আপনারা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।' এর পরেই সিবিআই-এর তরফে মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। এর ফলে কলকাতা হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই মামলার শুনানি চলবে।
advertisement
অভিজ্ঞ আইনজীবী মহলের মতে, এ দিন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি যে মনোভাব দেখিয়েছেন, তাতে মামলার রায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা ছিল। সেই কারণেই মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল, সোমবার থেকেই কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি শুরু হয়। আগামিকাল, বুধবার ফের মামলার শুনানি হওয়ার কথা হাই কোর্টে। যদি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে আগামিকাল শুনানি না হয়, সেক্ষেত্রে পরশু দিন বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা।
Rajib Chakraborty