যদিও বনগাঁর পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে বাগদা বিধানসভা থেকে টিকিট দেয়নি দল। বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে ঠাকুরবাড়ির তরুণ প্রজন্মের সদস্য মমতা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরকে। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে, রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ২০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু ভোটে জিতে ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে যোগ দেন তৃণমূলে। এবারের লোকসভা ভোটে, কৃষ্ণ কল্যাণীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে, প্রার্থী করে তৃণমূল। সেই সময় বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
advertisement
রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী হন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। বর্তমানে তৃণমূলে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন মুকুটমণি। বাগদায় মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে তিনি।
মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ৯,৭৯২ (৪.৪৯ শতাংশ)। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর লড়াই করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ থেকে ১৬ হাজার ৫১৫ ভোটে (৬.৮৮ শতাংশ) জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। যিনি লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে লড়াই করেন। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি যে বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন, সেখানে ৩৬,৯৩৬ ভোটের লিড পান বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২০হাজার ৭৪৮ (১৩.০২ শতাংশ)। যিনি পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুয়ায়ী, রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৬,৭৩৯ ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের অর্ধেক ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী।