কুড়ি জন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীকে ১৬ আগস্ট তলবও করেছে জেলা প্রশাসন। তার আগেই আট জন ব্যবসায়ী কেন দোকান খোলা সম্ভব নয়, তা লিখিতভাবে জানিয়ে দিল জেলা প্রশাসনকে। জেলাশাসকের অফিসে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর জিনিস উদ্ধার ফরাক্কায়, স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগেরদিন চাঞ্চল্য এলাকায়
জুন মাসের শেষে দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মিষ্টি হাব বন্ধ শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে এই হাব চালু করার নির্দেশ দেন তিনি।
advertisement
প্রয়োজনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে দোকান তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই নতুন করে মিষ্টি হাব চালু করার ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ায় জেলা প্রশাসন। জুলাই মাস পর্যন্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল।
দেখা গিয়েছে, প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাত্র পাঁচ জন ব্যবসায়ী দোকান খুলে রেখেছিলেন। বাকি ব্যবসায়ীরা দোকান খোলার ব্যাপারে কোনও উৎসাহ দেখাননি। এর পরই দোকান না খোলার কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন।
দোকান না খোলার কারণ নিয়ে মিষ্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবস্থানগত ত্রুটির কারণেই মিষ্টি হাবে ক্রেতা মিলছে না। কলকাতামুখী রাস্তায় ওই হাব হলে ক্রেতা মিলতো। কিন্তু তা হয়নি।
আরও পড়ুন- মিলেছে নতুন তথ্য! এবার অনুব্রতর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই
তাঁদের বক্তব্য, সেই সময় জানানো হয়েছিল শক্তিগড়ে পদসাথীর কাছে দু'নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতামুখী লেনে মিষ্টি হাবের আরও একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। সেখানে নারকেল ফাটিয়ে ভিত পুজোও হয়। কিন্তু তারপর আর তা এগোয়নি।
মিষ্টি হাব সফল না হওয়ার জন্য প্রশাসনিক গড়িমশিকেও দায়ী করছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, বৈঠকে জানানো হয়েছিল আমরা সেখানে দোকান না খুললে সেই দোকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই বৈঠকে এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যবস্থা করে দেবেন। তা হলে সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী কীভাবে মিষ্টি হাবকে লাভের মুখ দেখাবে, সেটা আমরা দেখতে চাই।
তবে কি আপনারা দোকান ছেড়ে দেবেন? মিষ্টি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা সরকারের ঘরে টাকা জমা দিয়ে তবেই দোকান নিয়েছি। দোকান সাজাতেও মোটা টাকা খরচ হয়েছে। সেসব খরচ প্রশাসন মিটিয়ে দিলে আমরা দোকান ছেড়ে দিতে রাজি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, দুর্গাপুরমুখী লেনে মিষ্টি হাব দেখেই ব্যবসায়ীরা সেখানে স্টল নিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসন এখন কী পদক্ষেপ নেবে, তা ১৬ আগস্ট বৈঠকের পর জানা যাবে।