জানা গিয়েছে, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে সিনেমার কায়দায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ। পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল অপহরণকারীদের পরিকল্পনা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোল থানার পাঁচড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনের একটি অপহরণকারীদের দল গাড়ি নিয়ে খয়রাশোল থানার পাঁচড়া বাজার এলাকা থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বাজার করতে এসে ব্যবসায়ী জয় সরকারকে অপহরণের করে। জয়ের বাড়ি পাঁচড়া এলাকায় হলেও তার ব্যবসা দুর্গাপুরে। পাঁচজন মিলে ব্যবসায়ীকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে আসানসোলের দিকে যেতে থাকে। গাড়িতে ওই ব্যাবসায়ী চাপানোর সময় তাঁর স্ত্রীর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী পুলিশকে খবর দেয়। খয়রাশোল থানার পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি এলাকায় টহলরত মোবাইল ভ্যানে থাকা পুলিশদের নির্দেশ দেন যে কোনও প্রকারে গাড়িটি আটকানোর।
advertisement
পুলিশ অপহরণকারীদের গাড়িটিকে ধাওয়া করে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ব্যবসায়ী জয় সরকারের স্ত্রী তনুশ্রী সরকার খয়রাশোল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যে, ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। আর তা দিতে না পারলে তাঁর স্বামীর কাটা মুণ্ডু রেললাইনের ধারে পড়ে থাকবে বলে হুমকি দেয়। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুর্গাপুর এলাকার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে দাবি করে। যার প্রেক্ষিতে খয়রাসোল থানার পুলিশকে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
পুলিশ সকলকে গ্রেফতার করে সেই সঙ্গে স্কোরপিও গাড়ি, পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, রাহুল ঠাকুর ঝাড়খণ্ডের এবং জিয়াউল শেখ, গৌরাঙ্গ সরকার, শেখ ফিরোজ এবং দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানান দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে খয়রাশোল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।
অন্য দিকে, এই জয় সরকার এর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন জায়গায় অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
