গাড়ি চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই পান্ডুয়ায় বাস দুর্ঘটনা বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা হয় বলেও এদিন দুপুরে স্পষ্ট করেন মন্ত্রী। রাজ্য ক্যাবিনেটের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দুই পরিবারের দুইজনকে 'সোশ্যাল কোটায়' স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও এদিন মৃতের বাড়িতে পৌঁছে জানান পুর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দুই প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও বিপ্লব মিত্র। রাজ্যসভার সংসদ মৌসম বেনজির নূর, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও কার্তিক ঘোষ।
advertisement
উল্লেখ্য, গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল গাজলে যাওয়ার সময় সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস প্রথমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ধাক্কা মেরে গিয়ে পড়ে নয়ানজুলিতে। ঘটনায় এপর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩৯। মৃতদের মধ্যে পুরাতন মালদহের নিয়তি সরকারের এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে পাট্টা পাওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের ঋষিপুরের বাসিন্দা সাহেলী হাঁসদার এদিন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তির চেক পাওয়ার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপভোক্তা হিসেবে সরকারি সাহায্য নেওয়ার প্রক্রিয়ার 'মহড়া' হওয়ার কথা ছিল। সেইজন্যই বাসে চাপিয়ে উপভোক্তাদের সভাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে হতাহতদের পরিবারের দাবি।
এদিকে এদিন সকালে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। রোগীদের দেখার পর মুখ্য সচিব জানান আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বাকিদের চিকিৎসা চলছে ভালোভাবেই। চিকিৎসার জন্য কলকাতা থেকে মেডিকেল টিমও পাঠানো হয়েছে।