পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত রায় জানান, প্রথম পর্যায়ে ৮টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৬টি মোট ২২টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়া হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তার আগেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভাড়া বাড়িতে ছটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জমির ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছে আরও কয়েকটির। এছাড়া পুরসভা এলাকায় ৬টি আর্বান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার রয়েছে। নতুন আরও একটি গড়া হবে। পুর স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, প্রতিটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন ও পরিকাঠামো গড়তে ৩৪ থেকে ৩৯ লক্ষ টাকা করে খরচ হবে।
advertisement
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রেশার, সুগার, ক্যানসার স্ক্রিনিং সহ অন্যান্য চিকিৎসার পরিষেবা মিলবে। চিকিৎসক দেখবেন। ওষুধ দেবেন। আবার পরবর্তী ওষুধ নেওয়ার সময় হলে এসএমএস করে সে তথ্য রোগীকে জানিয়েও দেওয়া হবে। সবই মিলবে বিনামূল্যে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই জমি দেখা হয়েছে। কিছু কাজও শুরু হয়েছে। কয়েকটি ভাড়া বাড়িতে চালু করা হয়েছে। পরে নিজস্ব ভবনও হবে।
আরও পড়ুন : বাদামি শোষকের হানা, দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ কৃষি দফতরের
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার জানান,সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্যাথলজিক্যাল টেস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে চিকিৎসক নিয়োগ হওয়ার পরই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি চালু করা হচ্ছে। এছাড়া নার্স, এএনএম, ওষুধ পত্রও আসবে। পরিপূর্ণভাবে চালু করতে একটু সময় লাগবে।
আরও পড়ুন : দিল্লির বিপদ বাংলাতেও! পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে চলছে নাড়া পোড়ানো
পুরসভার নিজস্ব জমি রয়েছে। সেখানেই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান পুরসভা। বাসিন্দারা বলছেন, সব এলাকায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু হলে এলাকার সকলেই উপকৃত হবেন। বিনামূল্যে সকলেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। এতে সকলের অর্থের সাশ্রয় হবে। হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। হাতের কাছে মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা।