নার্সের চাকরিতে যোগ দেওয়া আটকাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তার ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্বামী শের মহম্মদ-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শের মহম্মদ জেল হেফাজতে রয়েছে। বাকিরা জামিনে মুক্ত রয়েছে।
এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। বর্ধমানের গোদায় সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নার্সিং পরীক্ষার সরকারি প্যানেলের সংরক্ষিত কোটার ২২ নম্বরে নাম থাকা রেণু খাতুন। রেণুকে চাকরি দেওয়া ও কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপে বর্ধমানের নার্সিং প্রশিক্ষণ স্কুলে চাকরি পান রেণু। তবে এখনও কৃত্রিম কব্জি বা হাত প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হয়নি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের।
advertisement
এ'ব্যাপারে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপর ছয় মাস কেটে গিয়েছে। কৃত্রিম হাতের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে কৃত্রিম হাত লাগানো যাবে।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রেণুর বিষয়ে আমরা নিয়মিত খোঁজ রাখি। এখনও কৃত্রিম হাত না পেয়ে থাকলে কমিশন ফের খোঁজ নেবে। তবে এ ব্যাপারে অনেকটাই অগ্রগতি ঘটেছে বলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, রেণুর কৃত্রিম হাত কেনার জন্য চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এ'সপ্তাহে দরপত্র ডাকা হবে। প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সহযোগিতা করবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।