চিকিৎসকরা জানান, পেটে এমন সিস্ট সাধারণত দেখা যায় না। সিস্টগুলি অন্য অঙ্গগুলিকে চেপে রেখেছিল। অপারেশনের সময় এই সিস্ট ফেটে গেলে বিপত্তি হতে পারত। তবে দীর্ঘ সময় নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে ওই সিস্টগুলি বের করে আনা সম্ভব হয়। রোগী এখন অনেকটাই ভাল আছেন। বর্ধমান মেডিক্যালের ইতিহাসে এই ধরনের অস্ত্রোপচার এই প্রথম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত পরিষ্কার পরিচ্ছন্না না মেনে স্যালাড বা মাংস খেলে এই সমস্যা হয়।
advertisement
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপসকুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সার্জারি বিভাগ একটি বিরল অস্ত্রোপচার করেছে। এই ধরনের অস্ত্রোপচার এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথম। রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম। এর পোশাকি নাম ইনট্রা পেরিটোনিয়াল হাইড্রাটিড সিস্ট। উনি ধীরে ধীরে রোগা হয়ে যাচ্ছিলেন। পেট ফুলে যাচ্ছিল। খিদে কমে আসছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায় পেটের ভেতর জলভরা বেলুনের মতো অনেকগুলি জিনিস ভর্তি হয়ে আছে। এই সিস্ট লিভার বা ফুসফুসে হয়। কিন্তু পেটের মধ্যে এভাবে এই সিস্ট সাধারণত দেখা যায় না বললেই চলে। সবচেয়ে কঠিন হল এই জল ভরা বেলুনের মতো অংশগুলিকে ধীরে ধীরে বের করে আনা। সেই কাজটাই আমাদের সার্জেন ও অ্যানাস্থেটিস্টরা অতি দক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে করেছেন। অপারেশনের সময় তা ফেটে গেলে তার তরল অংশ থেকে আবার এই সিস্ট হতে পারতো।’
অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসক নাজমুস সাদত জমাদার বলেন, ‘সিস্টগুলি ওভারি সহ পেটের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে চেপে ধরেছিল। তারফলে দিন দিন তিনি রুগ্ন হয়ে পড়ছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলারই বাসিন্দা ওই তরুণীর পরবর্তীকালে সন্তান ধারণের সুযোগ যাতে থাকে সেকথা মাথায় রেখে ওভারি সহ সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গ অক্ষত রেখে এই অপারেশন করতে হয়েছে।’