দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলা নয়, পাশের পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি জেলার একটা বড় অংশের বাসিন্দারা এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ওপর নির্ভরশীল। রোগী আসে বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও। এই হাসপাতালে স্ট্রেচার না পাওয়ার সমস্যা রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতিদিনই।
advertisement
আরও পড়ুন : চৌকিদারের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে গোপন নির্দেশ, ঐতিহাসিক এই বাড়িতে ছড়িয়ে নেতাজির অজস্র স্মৃতি
নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোগীদের এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং এ নিয়ে যেতে হয়। তখন স্ট্রেচার ঠেলার লোক থাকে না। বাধ্য হয়েই রোগীর আত্মীয় পরিজনরা স্ট্রেচার ঠেলে রোগী নিয়ে যেতে বাধ্য হন। অনেক সময় সংকটাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেও স্ট্রেচারের অভাবে গাড়ি থেকে নামানো যায় না। স্ট্রেচারের জন্য তখন দৌড়াদৌড়ি করতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। ভর্তির কাগজ না আসা পর্যন্ত স্ট্রেচার দেওয়া যাবে না বলে রোগীর আত্মীয়দের জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এমার্জেন্সির সামনে তখন গাড়িও দাঁড় করাতে দেওয়া হয় না। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন : যেন পাটীগণিতেই গরমিল! এখানে মা ও ছেলের বয়সের ফারাক ৭ বছর, বাবা-ছেলের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১১!
অনেক সময় স্ট্রেচার না মেলায় রোগীকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যেতে বাধ্য হন তাদের আত্মীয়রা। যখন তখন ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।স্ট্রেচারজনিত সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার তাপস কুমার ঘোষ জানান, প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী কম থাকাতেই এই সমস্যা। ট্রলি বয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা মঞ্জুর হয়ে যায় বলে আশা করা হচ্ছে। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।