বৃষ্টি নেই, অথচ কীভাবে ভেসে গেল হাসপাতালের একাধিক ওয়ার্ড? জানা যায়, রোগীদের নিরাপত্তার জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সে'জন্য বসানো হয়েছে পাইপলাইন, যার একাধিক ভালভ ছিল যা আগেই চুরি হয়ে গিয়েছে, সে তথ্য জানাই ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক টেষ্টিংয়ের সময়ই ঘটল বিপত্তি। ভালভ চুরি হয়ে যাওয়ায় পাইপলাইনে জল ছাড়তেই গোটা হাসপাতাল জলে ভরে যায়। জল ঢুকে পড়ে অর্থোপেডিক বিভাগ,বহির্বিভাগ ও নতুন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন ওর্য়াডে। হাসপাতাল জুড়ে শুরু হয় তুমুল হইচই! এর পরই জানা যায়, ফায়ার ফাইটিংয়ের পাইপলাইনের ভালভ চুরি হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন:বাড়ি-বাড়ি ঘুরছেন 'ডাক্তারবাবু', কান্তি-'যুগে'র পর রায়দিঘির ভরসা নতুন বিধায়ক
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই করতে পাইপলাইনে জল ছাড়া হয়! এদিকে, ভালভ না থাকায়, জল পাইপ থেকে বেরিয়ে গোটা হাসপাতাল ভাসিয়ে দেয়।
নিরাপত্তার কারণে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় লিফট পরিষেবা। স্বাভাবিক ভাবেই জেলার অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্রের এহেন দশায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে! অথচ, নিরাপত্তা জোরদার করতে হাসপাতাল জুড়ে বসানো হয়েছিল শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। নিয়োগ করা হয়েছিল বেশ কয়েকশো নিরাপত্তা কর্মী। তারপরও কীভাবে চুরু হল পাইপলাইনের ভাল্ভ? উঠছে প্রশ্ন!
আরও পড়ুন:সীতাভোগ ও মিহিদানা পাচ্ছে বিশ্বজোড়া সম্মান, ফের বিদেশে যাচ্ছে বাংলার মিষ্টি
ভালভ চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডঃ তাপস কুমার ঘোষ জানান, ভালভ চুরি যাওয়ায় সাময়িকভাবে একটা সমস্যা দেখা গিয়েছিল, যদিও তা দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।