সময়ে ইঞ্জেকশন না দেওয়ার জন্যই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আবারও বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বললেও কর্তব্যরত নার্সরা সময় মতো তা দেয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রোগীর শ্বাসকষ্টের সময় বারে বারে ডাকা হলেও আসেননি নার্সরা। উলটে 'বেসরকারি হাসপাতালে কেন নিয়ে যান নি ?' বিরক্তির সঙ্গে এমন প্রশ্নও করা হয় রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন কালনার বাসিন্দা গৌতম বারুই(৪৫)। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিছুদিন পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। ফের শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে ৬ ডিসেম্বর কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন রোগীর পরিবার।
অভিযোগ, সন্ধ্যায় চিকিৎসক দেখে নেবুলাইজার এবং ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন। বাইরে থেকে ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়ার পরও নার্সরা তা সময়মতো দেয়নি বলে অভিযোগ। বারে বারে তা দিতে বলা হলে নার্সরা দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, বারে বারে সমস্যার কথা বলতে গেলে সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। সময় মতো ইঞ্জেকশন না দেওয়াতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে আত্মীয়দের অভিযোগ।