জেলা প্রশাসন তথা কৃষি দফতর নাড়া পোড়ানো বন্ধে জোরদার প্রচার করে যাচ্ছে। পুলিশও নাড়া পোড়ানো বন্ধে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে। মাঠে নেমে কৃষকদের সচেতন করছে। তা সত্ত্বেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাড়া পোড়ানো অব্যাহত রয়েছে।এবার সেই নাড়ার আগুনে খণ্ডঘোষ ব্লকের ওয়াঁড়ি গ্রামের মাঠে ১৬ বিঘা জমির খাস ধান ভস্মীভূত হয়ে গেল নিমেষের মধ্যে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দূরের কোনও জমিতে ধান কেটে নেওয়ার পর নাড়াতে কেউ বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন হাওয়ার গতিতে নিমেষের মধ্যে এসে পড়ে পাশে থাকা খাস ধানের জমিতে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১৬ বিঘা জমির খাস ধান।
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক চাল! রেশন দেওয়া বন্ধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হারু সাঁতরা, খণ্ডঘোষ ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। আধিকারিকরা সমগ্র বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করে নিয়ে যান। চাষিদের দাবি, ১৬ বিঘা জমির খাস ধান পুড়ে যাওয়ায় আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের ক্ষতিপূরণের জন্যেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন : ট্রেনের কামরায় ছিল বস্তা, হয়ে গেল সজারু! লক্ষ টাকা হাতবদলের আগেই গ্রেফতার ৩
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এবার নাড়া পোড়ানো বন্ধে ব্লকে ব্লকে ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। নাড়া পোড়ানোর আগুনে বিভিন্ন ক্ষতির কথা বলে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেজন্যই বার বার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতির তথ্য আসছে। এছাড়াও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। তবুও কৃষকদের নাড়া পোড়ানো থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।