এদিন সকালে বর্ধমান স্টেশনে ঢোকে ডাউন কালকা মেল। তা থেকে বেশ কিছু যাত্রী নামেন। তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং সহ শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়। স্টেশনে নেমে বাড়ি পৌঁছতে যথেষ্ট বেগ পড়তে হয় এই দূর পাল্লার ট্রেন যাত্রীদের। কারণ, বেসরকারি বাস এদিন রাস্তায় নামেনি বললেই চলে। আবার করোনা সংক্রমণের আশংকায় দিল্লিসহ বাইরের রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের গাড়িতে তুলতে চাননি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের অনেকেই।
advertisement
প্রতিদিন লক্ষাধিক পুরুষ মহিলা বর্ধমান স্টেশন ব্যবহার করেন। রবিবার নিত্যযাত্রী বা সরকারি অফিসে ছুটি থাকলেও ভিড়ে গিজ গিজ করে স্টেশন চত্ত্বর। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনতা কার্ফুয়ের জেরে এদিন কিন্তু সেই স্টেশনের চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। বেলা দশটায় এমন শুনশান স্টেশন অনেকেই দেখেননি। যাত্রী থাকবেন না ধরে নিয়ে এদিন কাজে নামেননি হকারদের অনেকেই। প্লাটফর্মের ভিড়, চলমান সিঁড়ি, লোকাল ট্রেনের ঠেসাঠেসি ভিড় থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকা থেকেই যায়। করোনার সংক্রমণ নিয়ে হয়তো অনেকেই নিজেদের অজান্তেই বাকিদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। এক দেহ থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ভাইরাস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাই একটা দিন সবাইকে গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই জনতা কার্ফু অন্তত একটা দিন ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিল বলাই যায়।