পঁচিশে বৈশাখ মানেই বাঙালীর এক বড় পার্বন। এমনিতেই রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গী করে বছর কাটান অনেকেই। তবে এদিনটা পালিত হয় পুরোপুরি রবীন্দ্র আবহে। সূর্য ওঠার মুখে কার্জন গেটে পথ নৃত্য পরিবেশন করে কচিকাঁচারা। লাল পাড়। হলুদ শাড়ি। মাথায় বাঁধা বেলি ফুলের মালা। গলায় রজনীগন্ধা। জানান দেয়। আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবি প্রণামের দিন। প্রভাতফেরি করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা। দিনভর নানান অনুষ্ঠান হয় টাউন হল প্রাঙ্গণ, রবীন্দ্রভবনে। সন্ধ্যায় পাড়ায় পাড়ায় মঞ্চ বেঁধে রবীন্দ্র সন্ধ্যা। নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটকের মধ্য দিয়ে দিন যাপন।
advertisement
এবার পয়লায় একলা বৈশাখ কাটিয়েছে বাঙালি। একলা কাটলো পঁচিশে বৈশাখও। কবি প্রণাম সাড়লেন যে যার নিজের মতো করে। দূর থেকে ভেসে এলো না রবীন্দ্র সঙ্গীতের চেনা সুর। তারই মধ্যে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই কবি প্রণাম বাড়তি পাওনা বলা যেতেই পারে। অন্যবার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর ঘটা করে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী পালন করে। জেলা স্তরে, মহকুমা স্তরে এলাকার সাংস্কৃতিক দলগুলিকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে তারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধের জেরে এবার তারাও সেভাবে কবি প্রণামের আয়োজন করতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবি প্রণাম সাড়তে হল তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে।
Saradindu Ghosh