১৯৫৯ সালের ৬ ডিসেম্বর ডিভিসি-র পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনে এসেছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। আর সেদিন আদিবাসীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুধনি মেঝান। তাঁর হাত দিয়ে জওহরলাল নেহেরু পাঞ্চেত ড্যাম উদ্বোধন করিয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান স্থলে ডিভিসির পক্ষ থেকে জওহরলাল নেহেরুকে মালা পরিয়েছিলেন। জহরলাল নেহেরু মশকরা করে সেই মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন বুধনি মেঝানকে। এতেই বাঁধে বিপত্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁধে মরণাপন্ন তরুণী, তিন ঘণ্টা হেঁটে হাসপাতালে পরিবার! মালদহে শিউরে ওঠা ছবি
এরপর যখন নিজের সমাজে ফিরতে চান বুধনি। তখন আদিবাসী সমাজ তাঁকে নেহেরুর বউ বলে উপেক্ষা করেন এবং সেই উপেক্ষার জন্য তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। হারিয়ে যান তিনি। পরবর্তীকালে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ তাঁকে খুঁজে নিয়ে আসে এবং আবার তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীকালে অবসর নিয়ে বুধনি মেঝান ডিভিসির আবাসনে থাকতেন। কিন্তু জীবনে তিনি সঠিক সম্মান পাননি বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তাঁর গ্রামেও ফিরে যেতে পারেনি আর কোনওদিন।
পরবর্তী সময়ে অবশ্য আসানসোলের সাংসদ আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায় বুধনি মেজানকে নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির কাছে নিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন৷ বুধনি যাতে প্রাপ্য সম্মান পান, সেই দাবিও তুলেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ৷
শনিবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে পাঞ্চেত শ্মশানে। তার আগে ডিভিসির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সম্মান দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও। তবে এলাকাবাসীদের দাবি, বুধনি মেঝানের নামে বৃদ্ধাশ্রম কিমবা বুধনি মেজানের মূর্তি পাঞ্চেত এলাকায় স্থাপন করা হোক।