স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি , এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধানের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে তৎকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় এই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এই ব্রিজটির বেহাল দশা হয়ে পড়ে প্রশাসন বিষয়টি জানে তার পরেও ব্রিজ সংস্কারের কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না । বাগড়াডাঙা , শিমুলডাঙা, নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রতিনিয়ত পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র , ব্লক অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে আসতে হয় । পাশাপাশি প্রতিদিন ইস্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এই ব্রিজের উপর দিয়েই যাতায়াত করে । ফলে কোন ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন ।
advertisement
আরও পড়ুন বর্ষায় নদীর ভয়ঙ্কর রূপ, গভীর চিন্তায় গ্রামবাসীরা, ভাঙন রোধে কাজ শুরু নিয়েও শুরু আপত্তি
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন , গত দুবছর আগে এই শালী নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তখন ব্রিজের এক দিকের গার্ডওয়াল ভেঙ্গে গেছে এবং ব্রিজের নিচের একটা অংশের থেকে মাটি সরে গিয়েছে ফলে বর্ষাকালে শালী নদীতে জল বাড়লে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে । তার উপর ব্রিজের উপরে থাকা দুই দিকের রেলিংয়ের সিমেন্ট খসে রড বেরিয়ে গেছে । স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই ব্রীজটি । বাম আমলে তৈরি হওয়া এই ব্রিজ কবে সংস্কার হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার সকল সাধারণ মানুষ ।
আর এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও প্রশাসনকে তীব্র কটাক্ষ করেছে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী । তিনি বলেন , এই সরকারের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মাথাব্যথা নেই । এই সরকার মেতে আছে কিভাবে পয়সা তুলে কালীঘাটে পয়সা পৌঁছে দেওয়া যায় ।