অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে যুবতী এবং তার পরিবারের। যোনিপথ স্থাপন নতুন কিছু নয়। তবে বিগত দিনে যোনিপথ স্থাপন করা হত ম্যাকিন্ডোস ভ্যাজাইনোপ্লাস্টির মাধ্যমে। যেখানে কোন একটি শিশুর ফুলের পর্দা বা এ্যামনিয়টিক মেমব্রেন সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরি করা হত যোনিপথ। যার জন্য বিভিন্ন রকমের রোগের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত। কিছু মেডিক্যাল গত সমস্যা দেখা যাওয়ার সম্ভবনা ছিল। তবে বীরভূমের বোলপুরের এই যুবতীর যোনিপথ স্থাপন করা হয়েছে ল্যাপারোস্কপি এ্যাসিস্টেড ভ্যাজাইনোপ্লাস্টির মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে ডিজিট্যাল পেমেন্ট বাড়তেই বাজার-ঘাটে নতুন অশান্তি! মহা ঝামেলায় ক্রেতা-বিক্রেতারা
চিকিৎসক দেবাশীষ দেবাংশী জানান, “এতদিন ম্যাকিন্ডোস ভ্যাজাইনোপ্লাষ্টির মাধ্যমে রোগীর যোনিপথ তৈরি করেছি, তাতে বেশ কিছু সমস্যা বা সংক্রমণের সম্মুখীন হতে হত রোগীনিকে। এছাড়াও অন্য আর এক পদ্ধতিতে নিজের চামড়ার প্রতিস্থাপন দিয়ে যোনিপথ তৈরি করা হত আগে, সেখানে যোনিপথে চুল গজিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত, এতে অনেক ক্ষেত্রে সহবাসে সমস্যা হত। তাই একটা নতুন আবিষ্কার এটা। এতে অনেকটাই সুবিধা হবে মহিলাদের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত এই পদ্ধতিতে পেরিটোনিয়াল মেমব্রেন বা রোগীনির নিজের পেটের ভেতরের পর্দা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই যোনিপথ। যার জন্য যোনিপথ স্থাপন করলেও সংক্রমণ অথবা অন্য কোন রোগ রোগীর শরীরে আসার সম্ভাবনা নেই। মেডিকোলিগ্যাল সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও নেই। আর এই অস্ত্রোপচারই রাজ্যের মধ্যে প্রথমবার করে অসাধ্য সাধন করেছেন চিকিৎসক দেবাশীষ দেবাংশী।
সিউড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত মার্চ মাসে এই অস্ত্রোপচার করেন তিনি। তার প্রায় তিন মাস পর অর্থাৎ জুন মাসে দেখা যায় স্থাপন করা যোনিপথের দৈর্ঘ্য ৭ সেমি এবং গভীরতা ৭.৫ সেন্টিমিটার হয়েছে।
সৌভিক রায়