উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেচেদা স্টেশনের লোকাল ট্রেনে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের নাম হাসান আলি (৪৫)। তিনি কলকাতার বউবাজার থানার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে থাকতেন। আসল বাড়ি পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগরে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়, দিঘায় হোটেল লিজ নিতে চেয়েছিল হাসান। চারজন ব্রোকার এর মারফত কথা হয়েছিল। রাজু হালদার ও গৌতম নামে নামে দুই ব্রোকার এর সাথে বেশি কথা হতো। সব মিলে ২১ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে ও ৬ লক্ষ টাকা ২৪ তারিখ ওই হোটেল মালিককে দেওয়ার কথা ছিল। পরিবারের লোকজনরা একটি বিয়েবাড়িতে থাকাকালীন সেই টাকা দিতেই বেরিয়ে আসেন হাসান। পরিবারের লোকজন এর অভিযোগ ব্রোকারদের বাকি ৬ লক্ষ টাকা দিতে যাওয়ার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান হাসান। ব্রোকাররাই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই খুন করেছে । ঘটনার তদনন্তে নেমে পাঁশকুড়া জি আর পি থানার পুলিশ ধড়-পাকড় শুরু করে। মুল অভিযুক্ত রাজুর খোঁজে পুলিশি তল্লাশি চলে। শেষমেশ, রাজুকে আজই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
SUJIT BHOWMIK